রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২০

জীবনের গল্প । আপনার জীবনের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন ❤️❤️💞🙃




hknayon19.blogspot.com
💘কিছু কথা হয়তো আপনাদের সাথেও মিলে যাবে💘

💜আশা করি ভালো লাগবে.... সবাই পড়ার চেস্টা করবেন💜

💘 মানুষ যখন প্রথম রিলেশন করে তখন দুজনেই দুজনের জন্য পাগল থাকে।

💘সারাদিন ফোন,টেক্সট-চ্যাট এসবের মাঝেই সময় কাটায়।পাগল হয়ে যায় ১ সেকেন্ড কথা না বললে! কিন্তুু কিছু দিন পর দুজনেরই দুজনের প্রতি আকর্ষণ কমতে থাকে.......!শুরু হয় অবহেলা,,

💘দুজনের না কমলেও একজনের কমতে থাকে। যে মানুষটা আপনার সঙ্গে এক মহুর্ত কথা না বলে থাকতে পারতো না, সেই মানুষটিই এখন সারাদিন ফোনে কথা না বলে থাকতে পারে। তার কিছু মনেই হয় না, কিছুই যেন যায় আসে না......!!!!

💘যে মানুষটা বলতো তোমার সাথে কথা না বললে আমার দম বন্ধ হয়ে যায়,সেই মানুষটাই কথা বলতে চাইলে বলবে সময় নেই!

💘আপনি সামান্য অসুস্থ হলে যে মানুষটার চিন্তার সীমা থাকতোনা, সেই মানুষটিই আজ আপনার বড় অসুস্থতার কথা শুনেও ছোট্ট একটা কথা বলে বা Take care বলে ফোনটা রেখেদেয়।পরে তার আর মনেই থাকে না যে আপনি অসুস্থ। একটা বার শোনার প্রয়োজনও মনে করেনা যে আপনি কেমন আছেন। কিংবা মেডিসিন ঠিকঠাক নিচ্ছেন কি না............অনেক সময় আপনি অসুস্থ থাকা শর্তেও তারর সাথে কথা বলার জন্য পাগল থাকবেন,কিন্তু সে আপনাকে Avoid করে চলে যাবে,কথা বলতে চাইবে না!

💘যে মানুষটা আপনার জন্য সারা রাত জেগে থাকতো,আপনি ঘুমাতে চাইলেও ঘুমাতে দিতো না,,কথা বলতে চাইতো,,সেই মানুষটা এখন খুব তারাতারি ঘুমিয়ে পরে!আপনি জেগে থাকলেও তার কোনো আসে যায় না!

💘যে মানুষ টা আপনার একটি কথা শুনার জন্য অনেক বাহানা করতো,একদিন সেই মানুষ টা এতটাই পালটে যায় যে তখন আপনি তাকে হাসাতে চাইলেও তার কাছে বিরক্ত লাগে!

💘যে মানুষটা আগে সব সময় আপনার প্রতিটি কাজে আপনার ভুল ঠিক গুলো ধরিয়ে দিতো। ভুল থেকে সর্বদা আপনাকে দূরে রাখার চেস্টা করতো, আজ সে ভুলেই গেছে সেই সব কথা। আপনার ভালো মন্দ তার কিছু যায় আসে না!

💘আপনি না খেলে যে মানুষটা কখনোই খেত না, এমন কি আপনি খেয়েছেন কি না সেটা জানার জন্য আপনার ফোনের অপেক্ষা করতো, কিংবা খাবার শেষে শূন্য প্লেটের পিকচার নাদিলে যে কিনা মুখ গোমরা করে সারাটা দিন বসে থাকতো।
সেই মানুষটিই আজ সামান্য ব্যস্তায় আপনার খোজ নিতে ভুলে যায়........!!!!! তার মনেই পরেনা যে আপনি খেয়েছেন কি না.........!

💘যে মানুষ আপনার একটা পিক আর কান ধরে সরি বললে সব ভুলে যেতো,আর এখন সেই মানুষ টার জন্য মরে যেতে চাইলেও তার রাগ কমে না!

💘হ্যা সেটাই সেই মানুষ যে আগে সামান্য মন খারাপ থাকলে আপনার ছোট্ট একটা মেসেজেই সবকিছু বুঝে নিতো.....আর আপনার মন ভালো করার জন্য অস্থির হয়ে যেতো। সেই মানুষটাই আজ আপনার শত মন খারাপ থাকলেও বোঝতে চেষ্টা করে না। দিব্যি হাসি মুখে কথা বলে যায়। আর বুঝলেও ছোট্ট একটা কথা বলে ফোনটা রেখেদেয়!

💘আর এই ভাবেই একজনের অবহেলা পূর্ণ ব্যবহারের কারনে আরেক জনের মন ভেঙ্গে যায়। যার শেষ পরিনাম হয় ব্রেকআপ........!!!!!!!!!

💘এই ভাবেই সহজে শেষ হয়ে যায় একটি সুন্দর মধুর সম্পর্ক.........!!!!!! তার পর কিছু দিন দুজনেই একটু কষ্ট পায়। কেউ কম আর কেউ বা বেশি..... তার পর কিছু দিন যাবার পর দুজনেই স্বাভাবিক হয়ে যায়....। আর নতুন করে জীবন শুরু করে!

💘আর কেউ বা কেয়ারলেস পাগলের মতো হয়ে যায়.....! কেউ বা নেশায় ডুবে যায়.....! সিগারেট না খাওয়া ছেলেটাও নেশার জগতে ডুবে যায়। কারন সে একটু স্বাভাবিক হলেও তার জীবন থেকে হারিয়ে যায় সব রঙ, সব আনন্দ! সবকিছুই কেমন সাদা কালো মনে হয় তার কাছে।

💘তবুও জীবন থেমে থাকে না। কারো জীবন চলে আনন্দ ফুর্তি করে, কারো বা বিছানায় বালিশ ভিজিয়ে। কারোও বা নিকোটিনের জগতে। আবার কেউ বা সব কষ্ট কে চাপা দিয়ে হাসি মুখে ভালো থাকার অভিনয় করে যায়.

💘জীবন তবু তার গতিতে চলে, থেমে থাকে না, কারো জন্যই জীবন থেমে থাকে না। অপেক্ষা করে না সে কারো জন্যই। জীবন জীবনের মতোই চলে.......!

💘কিন্তুু..... অবুজ আর সহজ সরল মনের মানুষ গুলো অস্বাভাবিক থেকে আর মুক্তি পায়না। তিলে তিলে নি :স্ব হতে হতে এক সময় না ফেরার দেশে চলে যায়। কারন কেউ এই যন্ত্রনার থেকে মুক্তি চায়। আর কেউ বা এই মিথ্যে নাটকে ক্লান্ত হয়ে সব ছেরে না ফেরার দেশে চলে যায়.....!!!

💘আর এই ভাবেই একটি জীবন নষ্ট হয়ে ঝড়র পরে আর শেষ হয় একটি সত্যি কারের ভালোবাসা.......!!!!!!

💘💘💘আর হে.... যদি কোনোদিন কাউকে ভালোবাসেন তাহলে তাকে অবহেলা করবেন না.... কারন অবহেলার পরিনাম অনেক ভয়ঙ্কর....!!! যাকে ভালোবাসেন তাকে একটু সাপোর্ট করোন, একটু বুঝার চেস্টা করোন দেখবেন সে সকল সমস্যা অতিক্রম করে আপনার কাছে ঠিক চলে আসবে....

বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ দফার নির্দেশনা

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা
প্রধানমন্ত্রী‌ শেখ হাসিনা'র ৩১ দফা নির্দেশনা
-----------------------------
১) করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  এ ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে. . হবে।

২) লুকোচুরির দরকার নেই, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

৩) পিপিই সাধারণভাবে সকলের পরার দরকার নেই। চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য পিপিই নিশ্চিত করতে হবে। এই রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্কসহ সকল চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত রাখা এবং বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে বিশেষ
সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৪) কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় নিয়োজিত সকল চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, এ্যাম্বুলেন্স চালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

৫) যাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে বা আইসোলেশনে আছেন, তাঁদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে।

৬) নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

৭) নদীবেস্টিত জেলাসমূহে নৌ-এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮) অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখতে হবে।

৯) পরিচ্ছন্নতা নিশ্চত করা। সারাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

১০) আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। জাতীয় এ দুর্যোগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সকল সরকারি কর্মকর্তাগণ যথাযথ ও সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন- এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

১১) এাণ কাজে কোন ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।

১২) দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক যেন অভুক্ত না থাকে। তাদের সাহায্য করতে হবে। খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য অতিরিক্ত তালিকা তৈরি করতে হবে।

১৩) সোশ্যাল সেফটিনেট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

১৪) অর্থনৈতিক কর্মকান্ড যেন স্থবির না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ নজর দিতে হবে।

১৫) খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, অধিক প্রকার ফসল উৎপাদন করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। কোন জমি যেন পতিত না থাকে।

১৬) সরবরাহ ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে। যাতে বাজার চালু থাকে।

১৭) সাধারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ।

১৮) জনস্বার্থে বাংলা নববর্ষের সকল অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে যাতে জনসমাগম না হয়। ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে।

১৯) স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজের সকল স্তরের জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশাসন সকলকে নিয়ে
কাজ করবে।

২০) সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

২১) জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন করে দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবেন।

২২) সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন: কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিক্সা/ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, স্বামী পরিত্যক্তা/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখাসহ ত্রাণ সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

২৩) প্রবীণ নাগরিক ও শিশুদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২৪) দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী (এসওডি) যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সকল সরকারি কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

২৫) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও নিয়মিত বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

২৬) আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করবেন না। খাদ্যশস্যসহ প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

২৭) কৃষকগণ নিয়মিত চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

২৮) সকল শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি পর্যায়ে নিজ নিজ শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়ি-ঘর পরিষ্কার রাখবেন।

২৯) শিল্প মালিকগণ শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখবেন।

৩০) গণমাধ্যম কর্মীরা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গুজব ও অসত্য তথ্য যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।


  1. ৩১) গুজব রটানো বন্ধ করতে হবে । ডিজিটাল প্লাটফর্মে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। গুজবে কান দিবেন না এবং গুজবে বিচলিত হবেন না।

এক জন রিক্সাওয়ালার গল্প ❤️❤️❤️❤️☑️

♥♥একজন রিক্সাওয়ালার অসাধারণ গল্প ❤❤

গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো,,,,

রিক্সা চালাই। বিয়ে করেছিলাম..
আজ থেকে এক বছর আগে।আমার মতই এক
গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম আমি।
,
অভাবের সংসারটা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে
নিয়েছিলো ও।বুঝতে পারি বউ আমায় খুব ভালবাসে।
আমি যখন রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরি,ও আমার জন্য
গোছলের পানি তুলে দেয়।মাঝেমাঝে আমিও
অবশ্য তুলে দেই।
বাড়িতে কারেন্ট নাই,খেতে বসলে ও পাখা দিয়ে
বাতাস করে।
গরমের রাতে দুজনে অদল বদল করে পাখা দিয়ে
বাতাস করি,ভবিষ্যৎটাকে সাজানোর গল্প করি দুজনে।
গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যেতাম
বুঝতে পারতামনা।
,
রিক্সায় বড়বড় সাহেবরা তাদের বউকে নিয়ে উঠত।
দুজনে মিলে অনেক গল্প করত।
সাহেবদের কাছে শুনতাম তারা যেদিন বিয়ে
করেছে সেদিন আসলে তারা নাকি অনুষ্ঠান, পার্টি না
কি জানি করে ।এই সব আমার জানা নেই।
যখন শুনতাম আমারো ইচ্ছে করত বউকে একটা
শাড়ী কিনে দিতে।বউকে যে খুব ভালবাসি আমি।
কিন্তু পারিনা।অভাবের সংসার, দিন আনি দিন
খাই।তাই একটা মাটির ব্যাংক কিনেছিলাম।ওটাতে রোজ
দু'চার টাকা করে
ফেলতাম।
,
দেখতে দেখতে অভাবের সংসারে আজ একটা
বছর হয়েগেল।
আজ সকালে
রিক্সা নিয়ে বের হবার আগে বউ যখন রান্না ঘরে
গেল তখন বউকে না জানিয়ে লুকিয়ে রাখা মাটির
ব্যাংকটা বের করে ভেঙ্গে দেখলাম সেখানে
প্রায় ৪৮০ টাকা হয়েছে।
বাসা থেকে বের হবার আগে বউকে বলেছিলাম,
আজ বাড়িতে ফিরতে দেরী হবে।
বউ মাথা নাড়ে,বলে ভালো কইরা থাকবেন।
চলেগেলাম রিকশা নিয়ে।
সারাদিন রিক্সা চালিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় মার্কেটে
গিয়েছিলাম
বউয়ের জন্যে একটা শাড়ী কেনার জন্য।
আজরাতে বউকে দিব।
,
ঘুরে ঘুরে অনেক শাড়ীই দেখছিলাম,পছন্দ হয়
কিন্তু দামের জন্য বলতে পারিনা।
অবশেষে দোকানীকে বললাম,
--ভাই এই কাপড়টার দাম কত?
--১৫০০ টাকা।
আমার কাছে তো আছে মাত্র ৪৮০ টাকা।তাই ফিরে
আসলাম। মার্কেট থেকে বের হয়ে
বাহিরে বসে থাকা দোকানদারদের থেকে ৪৮০
টাকায় একটা শাড়ী কিনে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।
মাঝেমধ্যে ভাবি,এই দোকান গুলো যদি না
থাকত,তাহলে কত কষ্ট হত আমাদের মত গরিবদের।
ফুরফুরে মেজাজে বাড়িতে ঢুকলাম।
অনেকদিন পর বউকে কিছু একটা দিতে
পারব,ভাবতেই বুকটা খুশিতে ভরে উঠছে বারবার।
,
রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পরার ভান করে শুয়ে আছি।
বারটা বাজার
অপেক্ষায় চোখ বন্ধ করে আছি।
কল্পনার জগতে ভাসছিলাম,বউকে দেবার পর
বউ কি বলবে?কতটা খুশি হবে?
__
রাত বারটা বেজে গেল।বউকে ডেকে
তুললাম।
ডেকে তুলে বউয়ের হাতে
শাড়ীটা তুলে দিয়ে
বললাম, বউ আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।আজকের
তারিখে তুমি আমার এই কুড়ে ঘরটাতে এসেছিলে।
আমার পক্ষথেকে তোমার জন্য এই ছোট্ট
উপহার।
বউ শাড়িটা বুকে জড়ায়,চোখ দিয়ে পানি ঝরতে
থাকে ওর।
তারপর উঠে গিয়ে ট্রাঙ্কটা খুলে শাড়িটা রেখে
দেয়।
তারপর কি যেন বের
করে।
আমি উকি মেরে দেখার চেষ্টা করেও দেখতে
পাইনা।
বউ ট্রাঙ্কটা বন্ধ করে আমার হাতে
একটা লুঙ্গি দিল।কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম আমি। কারন
টাকা পেল কোথায়? জিজ্ঞাসা করলাম,
--টাকা পেলে কোথায় তুমি?
--অনেকদিন আগে থেকে প্রত্যেকদিন একমুঠ
করে চাল খাবারের চাল থেকে আলাদা করে
জমিয়ে রাখতাম।জমিয়ে জমিয়ে কিছুদিন আগে
পাশের বাসার ভাবির কাছে বিক্রি করে দিছি।সেই টাকা
দিয়ে লুঙ্গি কিনছি।ভাবছিলাম আজকে দিব, আপনি তো
এসেই ঘুমিয়ে পরলেন।তাই ঠিক করছিলাম কাল
সকালে দিবো।
আমি কিছু বলতে পারলামনা।শুধু লুঙ্গিটা
উল্টিয়েপাল্টিয়ে
দেখছিলাম।
তারপর বললাম,শুনছি বড় সাহেবরা নাকি বিয়ের দিন
তারিখে কেক কাটে।
বউ বলে,আমাদের কি অত টাকা আছে?
--বাসায় মুড়ি আছে।
--আছে।
--যাও সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি নিয়ে এসো।সাথে
একটা কাঁচামরিচ
আর একটা পিয়াজ আনিও।
--আচ্ছা দাড়ান আনতেছি।
টিনের ফাক আর জানালা দিয়ে চাঁদের আলো
আসতেছে।দুজন জানালার পাশে বসে মুড়ি খাচ্ছি,
আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পালন করছি।
_❤
ছোট ছোট গিফট আর অফুরন্ত ভালবাসায় বেঁচে
থাকুক জীবন'যোদ্ধা রিকশা ওয়ালাদের জীবন........
আপনার মন্তব্য জানাবেন তা কেমন?
                                                   

""""""সবার জিবনে যেনো এরকম ভালবাসা হয়"""

বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০

করোনা ভাইরাস থেকে দুরে থাকার উপায়

hknayon19@gmail.com


আমরা অনেকেই করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি I আমাদের আপনজন আত্মীয়স্বজন যেন আক্রান্ত না হয় তা নিয়ে ভাবছি দুশ্চিন্তা করছি I প্রতিদিন নানা খবর শুনে আতঙ্ক বেড়েই চলছে I আর এই সুযোগে একটা মহল আগুনে তেল ঢেলে সাধারণ মানুষকে আরো আতংকিত করছে I আমি বিশ্বাস করি যে মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে হেফাজত করবে এবং ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি করোনা ভাইরাস এর ওষুধ পাওয়া যাবে I ইতিমধ্যে কিছু এক্সিস্টিং ওষুধ পরীক্ষামূলক ভাবে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের দেয়া হলে তা সফল ভাবে রোগীদের করোনা ভাইরাস মুক্ত করতে সক্ষম হয় I আমেরিকার নিউ ইয়র্কে এই ওষুধ আগামী মঙ্গলবার থেকে ব্যাপক ভাবে রোগীদেরকে দেওয়া হবে I অস্ট্রেলিয়াতেও পরীক্ষামূলক ভাবে এই ওষুধ গুলর কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছে I

আমি মনে করি আমরা সবাই যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি এবং সকল সরকারি স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা মেনে চলি তাহলে আমরা এই সংকট অনায়েসে অতিক্রম করতে পারব I বিপদ বা দুর্যোগের সময়ই মানুষের আসল চরিত্র- সে কি দিয়ে তৈরী- ফুটে উঠে I আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি- আমাদেরকে সেই দুর্বার সাহস আর শক্তি নিয়েই ভবিষৎ কে মোকাবেলা করতে হবে I আমাদের জয় পরাজয় আমাদের হাতে- আমরা এই চ্যালেঞ্জকে জয় করবোই I

করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার কিছু পরামর্শ

১. হ্যান্ড শেক করা বা কোলাকোলি/বুক মিলানো থেকে বিরত থাকুন- দূর থেকে সালাম, আদাব বা শুভেচ্ছা বিনিময় করুন

২. মুখে বিশেষ করে চোখ, নাক এবং ঠোঁটে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন বা আগে এবং পরে হাত ধুয়ে নিন

৩.মোবাইল ফোন নিয়মিত ডেটল পানিতে ভেজানো টিসু দিয়ে পরিষ্কার রাখুন I গবেষণায় দেখা গিয়েছে টয়লেটের থেকে বেশি জীবাণু মোবাইল ফোনে থেকে থাকে I

৪. হাঁচি বা কাশি হলে টিসু ব্যবহার করে ফেলে দিন বা কেনুর ভাজে হাঁচি বা কাশি দিন I তারপর অবস্যই হাত সাবান দিয়ে ২০-৩০ সেকেন্ড চলতি পানি দিয়ে ধুয়ে নিন

৫. খাবার সেবন করার আগে এবং পরে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন

৬. টাকা/পয়সা ধরার পর অবস্যই হাত ধুয়ে নিন

৭ অসুস্থ্য বোধ করলে বাড়িতে বা বাসায় বিশ্রাম নিন

৮. জ্বর বা অন্যান্য সিম্পটম দেখা গেলে অবস্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে